সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট: বেরিয়ে আসছে লক্ষীপুরের রায়পুর উপজেলার ৭নং বামনী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তোফাজ্জল যত অপকর্মের খতিয়ান। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বামনী ইউনিয়নের মানুষ তার নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন ইউপিসদস্যসহ অনেকে। টেন্ডার ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪ লক্ষাধিক টাকার গাছ বিক্রি, ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে পকেট কমিটির সদস্যদের দিয়ে গ্রামীন সড়ক পাকা( পিচঢালাই)করে দিবে বলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা প্রায় অর্ধ কোটি টাকা উত্তেলন, পুল ও কালভার্ট করে দিবে বলে প্রায় ১০ লাখ টাকা,হোল্ডিং ট্যক্সের নামে ব্যাপক চাঁদাবাজি,জন্মনিবন্ধন,বয়স্কভাতা,বিধবাভাতা,প্রতিবন্ধী, মাতৃকালিন ভাতা সহ সকল বিষয় থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান তাফা্জ্জলের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, তার এক ছেলে কুয়েত থাকার সুবাধে ইউনিয়ন পরিষদের থেকে অবৈধ ভাবে উপার্জিত লাখ লাখ টাকা হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাঠানো হয় আর এই কালো টাকা সাদা করে নিজের কাছে রেমিটেন্স আসে। ‘পাপ বাপকে ছাড়ে না’। শুধুমাত্র কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার নে’শায় দিন দিন বেপোরোয়া হয়ে ওঠেন তাফা্জ্জল মুন্সি।টাকার জন্য এমন কিছু নেই যা তিনি করেননি।
সত্যকে মিথ্যা, মিথ্যাকে সত্য বানিয়ে ইউপি সদস্য, স্থানীয় জনতা ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদেরও বোকা বানিয়েছেন তিনি। আর এভাবে তিনি নিজের ফায়দা হাসিল করেছেন। অঢেল অর্থ-বিত্তের মালিক বনে যাওয়া এই চেয়ারম্যান বামনী ইউনিয়নে এতটাই ক্ষমতাধর হিসেবে কাউকে কোনো পাত্তা দেন না।
গ্রাম পুলিশ, সচিবসহ স্থানীয়দের সাথে গালমন্দ ছাড়া ভালো কথা তার মুখে আসেনা।এ নিয়ে ক্ষোভ থাকলেও যেন কিছুই করার ছিল না অধিনস্থও স্থানীয়দের। এদিকে, সাধারণ ব্যবসায়ী তো দূরের কথা জেলা ও উপজেলা প্রভাবশালী শীর্ষ নেতাদের পাত্তা দেন না বলে বেড়ান। তার রোষানল থেকে রেহাই পায়নি কেউ, এবং নাজেহাল হয়েছেন অনেকে। লোকলজ্জার ভয়ে অনেকেই মুখ খোলেননি। নীরবে তাফা্জ্জলের অত্যাচার-নির্যাতন সয়ে যাচ্ছেন তারা।
এছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদেরও তাকে অর্থ দিয়ে এলাকায় থাকতে হচ্ছে এমন অভিযোগ ও রয়েছে।দুঃখ করে অনেকেই বলেছেন, নিজের দল ক্ষমতায়। অথচ চেয়ারম্যান তাফা্জ্জলকে রাস্তার করার জন্য টাকা চাঁদা দিয়ে এলাকায় থাকতে হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, দাবিকৃত টাকা না দিলে নানাভাবে হয়রানির হুমকি দেয়া হতো। ফলে আমরা নিরূপায় হয়ে পড়ি। কিন্তু সব কিছুর একটা শেষ আছে তা প্রমাণিত হবে।
এ বিষয়ে কথা হলে ইউপি চেয়ারম্যান তাফা্জ্জল মুন্সি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।