চাঁদপুরে ক্লাস ফা‌ঁকি দি‌য়ে পার্কে আড্ডা: ১৫ জোড়া তরুণ-তরুণী আটক

https://www.bdcurrentnews24.com/wp-content/uploads/2022/07/ad-1.jpg

জাকির হোসেন সৈকত,ফরিদগঞ্জ(চাঁদপুর): ফরিদগঞ্জের অবশেষে দীর্ঘদিন ধরে রাজা মিয়া পার্কে অশ্লীলতা আর নোংরামিতে পুলিশের অভিযান। উপজেলার পৌর এলাকার সাবেক বেইলি ব্রিজের গোড়ায় রাজা মিয়া পার্কে বিনোদনের নামে চলছে কিশোর-কিশোরীদের অশ্লীলতা আর নোংরামি। দীর্ঘদিন ধরে এ পার্কে এ ধরণের অশ্লীলতা আর নোংরামি চলে আসলেও কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন অজ্ঞাত কারণে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। যার কারণে তরুণ-তরুণী ও যুবক-যুবতীরা এই পার্কে গিয়ে অশ্লীলতা নোংরামি কাজ করছে। এতে করে যুব সমাজের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সমাজের উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েরা ধ্বংসের পথে চলে যাচ্ছে। অবশেষে ২৬ জানুয়ারি রবিবার সকালে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আবদুর রকিব এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ কথিত রাজা পার্কে অভিযান চালায়।

অভিযানে তারা ঝোপ-জঙ্গল থেকে ১৫ জোড়া তরুণ তরুণীকে আটক করে। এদের অধিকাংশই স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী এবং এস.এস.সি পরীক্ষার্থী। এদের মধ্যে চির্কা চাঁদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, ধানুয়া জনতা উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁদপুর পুরান বাজার কলেজ, ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ, ফরিদগঞ্জ এ.আর পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীই বেশি), খাজুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, গৃদকালিন্দিয়া উচ্চ বিদ্যালয়। পরে ওসি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের ডেকে তাদের হাতে সন্তানদের তুলে দেন এবং ভবিষ্যৎতের জন্য শর্তক করে দেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুর লক্ষীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ফরিদগঞ্জ অংশের সাবেক বেইলি ব্রিজ’র পাশে ডাকাতিয়া নদীর তীরে পরিত্যাক্ত স্থানে গত বছরের শুরুতে একটি পার্ক গড়ে তোলেন রাজা মিয়া। পার্কটির নির্দিষ্ট কোনো নাম নেই। তবে রাজা মিয়া নামের লোকটি কোনো রকম অনুমতি ছাড়াই পার্কটি পরিচালনা করছেন। সেই থেকে তার নামেই পার্কটির নাম প্রচারিত হয়ে আসছে। অবকাঠামোগতভাবে গড়ে না উঠা এবং অনুমতি ছাড়া পরিচালনার কারণে এ পার্কের প্রবেশ মূল্যও নেই। তাই এখানে অবাদে প্রবেশ করছে স্কুল কলেজ পড়–য়া ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা। এদেরকে নোংরামি ও অশ্লীলতা দিকে ঠেলে দিতে ঝোঁপ-ঝাড়ের মধ্যে বসার স্থানও করে দেওয়া হয়েছে। উঠন্ত বয়সের এ সব ছেলে মেয়েদের এতোটাই অধপতন হয়েছে যে, এরা এই পার্কে বসে সবার সামনে একে অপরকে লিপ কিচ করতেও দ্বিধা করছে না। আমাদের ভবিষ্যৎ যাচ্ছে কোন দিকে? এমন প্রশ্ন হাজারো মানুষের।

আরো জানা গেছে, পার্কের ভেতরে প্রবেশ করে যুবক-যুবতীরা ঝোপের মধ্যে চলে যায়। ঝোপ-জঙ্গলে গিয়ে তারা অশ্লীলতা আর নোংরামি করে। শুধু তাই নয় পার্ক কর্তৃপক্ষ ছাড়া কিছু অসাধু লোকজনকে পাহারার জন্য কিছু টাকা দিলেই তারা প্রেমিক যুগলকে পাহারা দেয় এবং কোন দর্শনার্থীকেই তাদের আশেপাশে যেতে দেয়না। আবার অনেক যুগলরা স্থানীয় মাস্তানদের দ্বারা ছিনতাইয়ের কবলে আবার অশ্লীল ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করে। পার্কে ঘুরতে আসা ছোট ছেলেমেয়েরা এসব অশ্লীল দৃশ্য দেখতে পায়। ফলে ছেলে-মেয়েদের মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ছে ও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা অভিযোগ করে বলেন, পার্কে বর্তমানে উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণী ও যুবক-যুবতী ছাড়া বয়ষ্ক দর্শনার্থী আসেনা।

প্রেমিক প্রেমিকার এবং কিছু অসাধু মানুষের নিরাপদ জায়গা হয়ে উঠেছে ফরিদগঞ্জের রাজা মিয়া পার্ক। পার্কের ভিতরে দিনে দুপুরে চলে অবৈধ কর্মকান্ড। অনেকের ধারণা ‘রাতের আধার নামলেই পার্কের ভিতরে প্রবেশ করে মাদক সেবিরা। ভিতরেই চলে তাদের মাদক সেবন। এটা নিরাপদ একটা যায়গা মাদক সেবনের জন্য’।

আমাদের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে পার্কের বিভিন্ন ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা। পার্কের ভিতরের চিত্র এতোটাই কুরুচিপুর্ণ যা হয়তো চোখে না দেখলে বিশ্বাসের অযোগ্য। দিনের বেলাই পার্কের ভিতরে চলে নোংরামি।

আর একজন অবিভাবক জানিয়েছেন এখনে আর বাচ্চাদের নিয়ে আসা যায় না। এখানে বিনোদনের জায়গা নেই। এটা নোংরামির জায়গায় পরিনত হয়ে গেছে। এখানে বাচ্চাদের নিয়ে এসে যা দেখলাম তাতে আমারই বাচ্চাদের কাছে মুখ দেখানোই লজ্জা করছে। আমরা সধারণ মানুষ এর একটা প্রতিকার চাই। স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা স্কুল কলেজ ফাঁকি দিয়ে পার্কের ভিতরে ঢুকেই মেতে উঠছে নোংরা খেলায়।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আবদুর রকিব বলেন,‘নতুন বছরে শিক্ষার্থীরা এ সময় নতুন বই নিয়ে থাকবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এ সময় তারা এখানে অভিসারে আসছে’। এ সময় তিনি পার্কের স্টাফদের হুশিয়ার করে দিয়ে বলেন,‘এখানে যদি কোনো রকম অশ্লীলতা দেখি কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
এ বিষয়ে রাজা মিয়ার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে না পাওয়া তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

কজন অবিভাবক জানিয়েছেন এখনে আর বাচ্চাদের নিয়ে আসা যায় না। এখানে বিনোদনের জায়গা নেই। এটা নোংরামির জায়গায় পরিনত হয়ে গেছে। এখানে বাচ্চাদের নিয়ে এসে যা দেখলাম তাতে আমারই বাচ্চাদের কাছে মুখ দেখানোই লজ্জা করছে। আমরা সধারণ মানুষ এর একটা প্রতিকার চাই। স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা স্কুল কলেজ ফাঁকি দিয়ে পার্কের ভিতরে ঢুকেই মেতে উঠছে নোংরা খেলায়।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আবদুর রকিব বলেন,‘নতুন বছরে শিক্ষার্থীরা এ সময় নতুন বই নিয়ে থাকবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এ সময় তারা এখানে অভিসারে আসছে’। এ সময় তিনি পার্কের স্টাফদের হুশিয়ার করে দিয়ে বলেন,‘এখানে যদি কোনো রকম অশ্লীলতা দেখি কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
এ বিষয়ে রাজা মিয়ার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে না পাওয়া তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

https://www.bdcurrentnews24.com/wp-content/uploads/2022/07/ad-1.jpg