নাইম তালুকদার , সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: কোভিড সংক্রমণ ঠেকাতে টানা ছুটি ঘোষণা ও অঘোষিত লকডাউন চললেও গত কয়েকদিন রাস্তায় জনসমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো।
কোনওভাবেই ঘরে রাখা যাচ্ছে না সুনামগঞ্জ বাসীকে। সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে জরুরি প্রয়োজন ছাড়াও সড়কে দেখা যাচ্ছে অনেককে।
মঙ্গলবার ( ১৪ -ই এপ্রিল ) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল ছিল অনেক।
তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতা বেড়ে যায়। রাস্তায় বের হওয়া প্রায় সবাইকে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশের পাশাপাশি সেনা সদস্যরাও।
যারা প্রয়োজন ছাড়া বের হয়েছেন তাদের বাড়ি ফেরত পাঠানো হচ্ছে। সড়কে বের হওয়া গাড়িগুলোতে চলছে তল্লাশি।
অলিগলিতে নানা কৌশলে খোলা হচ্ছে দোকানপাট। ফলে জনসমাগমও বাড়ছে। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের নির্দেশনা। বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকি।
বাড়তি জনসমাগম দেখলে মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে মাস্ক পরার। তবে তারা চলে যাওয়ার পর আবারও সবকিছু অমান্য করা হচ্ছে। অনেকেই বিনা প্রয়োজনে ঘোরাঘুরি করছেন। সচেতন মানুষের অভিযোগ কঠোর পদক্ষেপ না নিলে সবাইকে ঘরে রাখা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে।
বিভিন্ন কাঁচা বাজারে দেখা যায়, কোভিড থেকে রক্ষায় নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মানছেন না কেউ। এই সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে শারীরিকভাবে একে অন্যের তিন ফুট দূরত্বে অবস্থান করতে বলা হলেও সেটা মানছে না ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই। তবে কেউ কেউ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে পারছে না।
সিলেট সুনামগঞ্জ রোডের মতো সারা জেলার বিভিন্ন উপজেলার পল্লী অঞ্চলের চিত্র একই রকম। অনেকে প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন। আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী বারবার বুঝাচ্ছেন সামাজিক দূরত্ব রাখার জন্য কিন্তু কেউ মানছে তো মানছেন আবার কেউ মানছেন না।
জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া বাজারের সামনে অন্যান্য দিনের মতোই অসংখ্য রিকশা দাঁড়িয়ে রয়েছে যাত্রীর জন্য। বাজারে জনসমাগম দেখে বোঝার উপায় নেই কোভিড সংক্রমণ রোধে দেশজুড়ে চলছে সতর্কতা। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে সতর্ক নন অনেকেই।
সতর্কতা না মেনেই নোয়াখালী, গনিগঞ্জ পাথারিয়া, টানাখালী,পাগলা ও বীরগাঁও কর্ণগাও বাজার বাজারগুলোতেও চলছে জমজমাট বেচা-কেনা।
নোয়াখালীতে গ্রামের বাজারগুলো দিনে অনেকটা ফাঁকা থাকলেও দৃশ্যপট বদলাতে থাকে সন্ধ্যা নামতেই। অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকছে দোকানপাট। চলে আড্ডা।
নিজ ঘরে থাকার নির্দেশনা না মেনে পাথারিয়া, গাজীনগর, উজান দরগাপুর সড়কে বেড়েছে মানুষ চলাচল।
Bসন্ধার চায়ের আড্ডা আর গল্প-গুজব পাথারিয়া কলেজ প্রাঙ্গনে, জয়কলস রাস্তার মোড়ের স্থানে। একই অবস্থা, টানাখালী নতুন বাজার,ও দামোধরতপী বাজারে।
নানা অজুহাতে ঘোরা-ফেরা করছেন বাইরে।
কোভিড মোকাবেলায় সমাগম নিষিদ্ধ হলেও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার ও দিরাই উপজেলার মানছেন না কেহ,।
জেলা শহরের ন্যায় আন্ত-উপজেলা দক্ষিণ সুনামগঞ্জ গুলো লকডাউন করা হলেও মানুষের চলাচল চোখে পড়ার মতো। অনেকে মানতে চাইছেন না কোভিড সংক্রমণ রোধের বিধি-নিষেধ। এব্যাপারে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মানুষকে ঘরে রাখতে কতব্যরত অধিক লোক সমাজের ভিড়ে দায়িত্ব পালন করছে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এব্যাপার সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত বলেন,আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনপ্রতিনিধি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য সমগ্র জেলার মানুষজনকে ঘরে রাখতে আন্তরিক ভাবে মাঠে ঘাটে কাজ করছেন। কিন্তু আমাদের বুঝা উচিৎ মৃত্যু দোয়ারে এসে কড়া নাড়ছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য আমাদের সবাইকে ঘরে থাকা একান্ত প্রয়োজন।
এব্যাপারে পাথারিয়া ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক এইচ আর হাবিব বলেন, মানুষকে ঘরে রাখতে দিন-রাত পুলিশের সাথে আমি ও আমার সভাপতি নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি । গতকাল মঙ্গলবার হাটবার থাকায় বাজারে একটু মানুষের সমাগম ছিলো। পুলিশ সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে সবাইকে দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন।