আমান উল্যা আমান: ফরিদগঞ্জে যুবলীগ নেতারা বলেন, চাঁদপুর জেলার রাজনীতিতে ছাত্র লীগ ও যুব লীগের নেতাকর্মীদের কাছে ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান একটি আদর্শের নাম। একটি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে তিনি চাঁদপুরের রাজনীতির বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি উজ্জ্বল নাম। একই সাথে শিক্ষা মন্ত্রী ডা: দীপু মনি এমপি জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি বিশ্বস্ত ও আস্তার প্রতীক। চাঁদপুর জেলার আপামোর জনসাধারণের কাছে তিনি সমান ভাবে সমাদৃত। কিন্তু সোমবার যুব লীগের সমাবেশের নামে পৌর মেয়র মাহফুজুল হক যেভাবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমানকে নিয়ে যেসব বিভ্রান্তি মুলক বক্তব্য দিয়েছেন, তার কঠোর প্রতিবাদ জানাই।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগের ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা আরো বলেন, মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রীর আন্তরিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এর থেকে মেয়র সরে এসে ভাল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা শান্তির রাজনীতি বিশ্বাস করি। কিন্তু জাহিদুল ইসলাম রোমান ভাইয়ে নিয়ে বিভ্রান্তি মুলক বক্তব্য অব্যাহত রাখলে এর পরিনাম হবে ভয়াবহ। তারা সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমান উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি যাদেরকে নিয়ে রাজনীতি করেন, তারা অপরাজনীতি করার চেষ্টা করছে। এরা ফরিদগঞ্জের রাজনীতির জন্য বিপজ্জনক। তাই এদের থেকে দুরে থাকার জন্য আপনার প্রতি অনুরোধ জানাই।
উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে পৌর যুব লীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন টিটুর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্মআহ্বায়ক এস এম সোহেল রানার পরিচালনায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক মশিউর রহমান মিটু, জেলা পরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলাম রিপন, উপজেলা যুব লীগের যুগ্মআহ্বায়ক কামরুজ্জামান সবুজ, আকবর হোসেন মনির, পৌর যুব লীগের যুগ্মআহ্বায়ক মশিউর রহমান জুয়েল পাঠান, পৌর যুব লীগের সদস্য ওমর ফারুক , ফিরোজ আলম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা যুব লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান হোসেন, যুব লীগ নেতা এমরান হোসেন, পৌর যুবলীগ নেতা আ: সাত্তার মেম্বার, পৌর যুব লীগের যুগ্মআহ্বায়ক সোহেল দেওয়ান, এমরান হোসেন মিজি, সাকিল পাঠান শামিম, সদস্য হাবিবুর রহমান পাটওয়ারী, আরিফ হোসেন বেপারী, বেলায়েত হোসেন রিপন প্রমুখ।
বিকালে ফরিদগঞ্জ পৌর যুবলীগ বর্ণাঢ্য র্যালী আলোচনা সভা ও কেক কাটার আয়োজন করে। জেলা পরিষদ ডাকবাংলো থেকে বিশাল র্যালীটি বের হয়। উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদের সামনে এসে শেষ হয়।