প্রযুক্তি ব্যবহারে নৈতিক হোন!

https://www.bdcurrentnews24.com/wp-content/uploads/2022/07/ad-1.jpg
     

প্রযুক্তি নির্ভর সুন্দর আগামী জীবনের প্রত্যাশায় বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। উদ্যোগ বাস্তবায়নের ফলে সফলতার মূল লক্ষ্যে পৌঁছতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মহোদয়ের চলমান অপ্রতিরোধ্য গতিতে কাজ করার দৃশ্য আজ আমরা উপলব্ধি করতে পারছি।

হাজারো বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গোটা জীবন যেমন কেটেছে আন্দোলন -সংগ্রামে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ঠিক তেমনি তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা মহোদয়ের রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের কর্মকাণ্ডেও জাতির পিতার সেই চিন্তা চেতনা ও সাধনার পরিচয় পাওয়া যায়।জাতির পিতা যেমনটা তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় করেছিলেন সেটা তারঁই কণ্যা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।এতে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনও আজ প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়ে।প্রযুক্তি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পেতে হলে আমাদের প্রথমেই জানতে হবে বিজ্ঞান সম্পর্কে।বিজ্ঞান হলো প্রকৃত, প্রাণী, মহাকাশ,সমুদ্র, বায়ুমণ্ডল সহ আমাদের চারপাশের খুঁটিনাটি যা কিছু আছে তার সম্পর্কে সঠিক এবং পরিপূর্ণ ধারণা অর্জন করা।এদিকে বিজ্ঞানের নানা আবিষ্কারকে কাজে লাগিয়ে নতুন কোনকিছু তৈরি করা এবং জীবনমানকে আরও উন্নত করাই হলো প্রযুক্তি।আর এ প্রযুক্তির সাথে নৈতিকতা অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত।নৈতিকতা মানুষের কাজ কর্মের সেই মূলনীতির উপর ভিত্তি করে মানুষ একটি কাজের ভালো বা মন্দ দিক বিচার বিশ্লেষণ করতে পারে।আনন্দের হলেও দুঃখের বিষয় যে,প্রযুক্তি বিপুল সম্ভাবনার দ্বার খুলে আমাদের যেমন অনেক কিছু শিখিয়েছে তেমনি আমাদের কাছ থেকে নৈতিকতা মূল্যবোধ কেড়ে নিয়েছে।সভ্যতার উন্নয়নে প্রযুক্তির অবদান অপূরনীয়।তবে কিছু নৈতিক কান্ডজ্ঞানহীন মানুষের দ্বারা আক্রান্ত প্রযুক্তি।প্রযুক্তির কল্যাণকর দিক আমাদের অবস্থান যেমন উপরে তুলেছে তেমনি অকল্যাণকর দিক আমাদের অবস্থান নিচে নামিয়ে দিয়েছে। মূল্যবোধ বিবর্জিত মানুষেরা প্রযুক্তিকে তাদের ভোগ ও আয়েশের ক্ষেত্রে ক্ষেত্র তৈরি করে ফেলেছে।

তথ্য বিকৃত, ব্যক্তিগতভাবে সমাজের কোন মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করা ইত্যাদি বিষয় সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে দেওয়া একটি নিত্য নৈমিত্তিক কাজে পরিণত হয়েছে। অপরাধচক্র ইন্টারনেটকে তাদের অপরাধ কর্মকাণ্ড সংগঠিত করার গোপনীয় মাধ্যম হিসেবে বেছে নেয়। পরিচয় গোপন করে হুমকি, গুজব ছড়ানো, টাকা আত্মসাৎ, গোপন দৃশ্য ধারণ, অডিও-ভিডিও পাস সহজেই সম্ভব হয়। তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ লোকেরাই এই অপরাধমূলক কাজগুলো বেশি করে থাকে। সেক্ষেত্রে তারা নিজেদের গোপনীয়তার ব্যাপারে সচেতন থাকে। ক্রেডিট কার্ডের গোপন নম্বর জেনে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এইভাবে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়লে দেশের আর্থিক, সামাজিক ,মানসিক অবক্ষয়ের হার কোথায় গিয়ে ঠেকবে সহজেই তা অনুমেয়।

ফুলশয্যার প্রযুক্তির উৎকর্ষতার উপযুক্ত ব্যবহারই পারে আমাদের একটি সুন্দর সমাজ উপহার দিতে যাতে কাউকে অনৈতিকতার আশ্রয় নিয়ে সামনে অগ্রসর হওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। সেজন্য কম্পিউটার অপরাধ, সাইবার অপরাধ, হ্যাকিং সফটওয়্যার, পাইরেসি ইত্যাদি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে ও সরকারের প্রযুক্তি নির্ভর উন্নয়নের ক্রমবিকাশে প্রযুক্তি ব্যবহারে আমাদের সকলকে নৈতিকতার দিকটি খেয়াল রাখতে হবে।

লেখকঃ-
মোঃআবু হানিফ বিন সাঈদ,
(সমসাময়িক বিষয়ক তরুণ লেখক ও কবি)

https://www.bdcurrentnews24.com/wp-content/uploads/2022/07/ad-1.jpg