মোঃ আসাদুজ্জামান, বরগুনা জেলা প্রতিনিধিঃ বরগুনার প্রান্তিক কৃষকরা তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে সকাল থেকেই ফসলের মাঠে অক্লান্ত পরিশ্রম করে অধিক লাভের আশায় আলুর ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ মৌসূমে জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিরা ইউনিয়নের জালিয়াঘাটা, শিংড়াবুনিয়া এবং কালমেঘা ইউনিয়নের রূপদোন, কূপদোন এলাকায় আশানুরুপ আলুর চাষ বেশি হয়েছে।
এ মৌসূমে জেলায় আলু চাষে ৯’শ ২০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এ বছরে লক্ষ্যমাত্রায় ৮’শ ৯০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে পাথরঘাটায় ৫২০ হেক্টর লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ মাত্রা ছাড়িয়ে ৫৩০হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ করেছেন বলে জানা যায় জেলার কৃষি অফিস সুত্রে।
জেলার পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কৃষকরা আলু ক্ষেতে কীটনাশক, সার প্রয়োগ এবং আগাছা পরিস্কারে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। কোন কৃষক ঘরে বসে নেই। প্রতিদিন সকাল হলেই ক্ষেতে বিভিন্ন পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত থাকেন তারা। এ অঞ্চলে আলু চাষে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের মাঝে। তাই গত বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে ব্যাপক হারে চাষিরা আলুর চাষ করেছেন। জানা যায়, জেলার পাথরঘাটা অঞ্চলের কৃষকরা প্রতি বছরেই আগাম আলু চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। তবে কৃষকরা বলছেন হিমাগার না থাকার কারণে মাঝে মাঝে দাম কম পাচ্ছেন তারা।
পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিরা ইউনিয়নের জালিয়াঘাটা গ্রামের ছগির খাঁন জানান, কৃষি অফিসের পরামর্শে এ বছর তিনি ৪ একর জমিতে আলুর চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবং আলুর ফলন ও ভালো দাম পেলে লাভবান হবেন বলে তিনি আশাবাদী। তিনি আরও জানান, আলু চাষে সরকার সু-দৃষ্টি বা একটু সুযোগ তৈরী করে দিলে আলু চাষিদের কখনও লোকসানে পড়তে হবে না।
এ ব্যাপারে বরগুনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু সৈয়দ মো. জোবায়দুল আলম বলেন, এই এলাকার মাটি আলু চাষের উপযোগী। এবারে আলু চাষে ব্যাপক ফলন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আমরা কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের পরামর্শ এবং সর্বাত্বক সহযোগিতা করে যাচ্ছি। এছাড়াও মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রতিনিয়ত আলু চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।